সৃজনশীলতা থাকতে হবে প্রতিটি উত্তরে - jonakiict school

Latest News

সৃজনশীলতা থাকতে হবে প্রতিটি উত্তরে

প্রিয় পরীক্ষার্থীরা, জেএসসিতে বাংলা ১ম পত্র নম্বর থাকবে ১০০। সৃজনশীল অংশে 70 এবং বহুনির্বাচনি অংশে ৪০ নম্বর। মনে রেখো, বাংলা ১ম পত্র ও ২য় পত্র মিলে গ্রেড নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ বাংলা ১ম পত্র ও ২য় পত্র মিলে মোট ১২০ নম্বর হলেই A+ হবে।
সৃজনশীল অংশ: প্রতিটি বিভাগ থেকে ২টি করে এই মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর করার জন্য সময় পাবে ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট। অর্থাত্ প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য ২০-২২ মিনিট সময় পাবে।
বহুনির্বাচনি অংশ: 3০টি বহুনির্বাচনির সবগুলো প্রশ্নেরই উত্তর করতে হবে। সময় পাবে ৪০ মিনিট।
# বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করার জন্য সঠিক উত্তরের বক্সে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
কাটাকাটি করবে না: মনে রাখতে হবে, উত্তরপত্রে কোনো কাটাকাটি বা ঘষামাজা চলবে না। অর্থাত্ একটা উত্তর একবার দিয়ে আবার কেটে বা মুছে আরেকটা দেওয়া যাবে না।
# সৃজনশীল পদ্ধতিতে যেকোনো গল্প বা কবিতার একটি ভাব আলোকে একটি মৌলিক উদ্দীপক এবং সংশ্লিষ্ট চার দক্ষতার চারটি প্রশ্ন থাকে। এই চারটি অংশ বা প্রশ্ন (জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা) মিলে কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন।
# ‘ক’ অংশে জ্ঞানমূলক প্রশ্নের নম্বর ১। এর উত্তর একাধিক শব্দে বা একটি বাক্যেও দেওয়া যাবে। একটি পূর্ণাঙ্গ বাক্যে দিলে উত্তর ভালো। যেমন ক. কাজী নজরুল ইসলামকে কত সালে এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়? এর উত্তর: ১৯৭২ সাল। শুধু এটুকু লিখলেই ১ নম্বর পাওয়া যাবে। এভাবে লেখার চেষ্টা করবে: কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালে এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। যে তথ্যটা জানতে চাওয়া হয়েছে সেটার বানান ভুল করলে উত্তর কাটা যাবে এবং শূন্য পাবে।
# ‘খ’ অংশের অনুধাবনমূলক প্রশ্নের নম্বর ২। এর মধ্যে ১ নম্বর জ্ঞানের জন্য আর ১ নম্বর অনুধাবনের জন্য। জ্ঞানমূলকের উত্তর আগে লিখে অনুধাবনের উত্তর পরে লিখবে। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর দুই প্যারাতে লেখার চেষ্টা করবে। মনে রাখবে, সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর হবে ‘জিরো ফ্যাট’ অর্থাত্ চর্বিশূন্য। শুধু অনুধাবনেই নয়, কোনোক্রমে কোনো প্রশ্নের উত্তরেই অপ্রাসঙ্গিক কথা বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবে না। অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সর্বোচ্চ ৫টি বাক্যে উত্তর লিখবে।
# ‘গ’ অংশের প্রয়োগমূলক প্রশ্নের মোট নম্বর ৩। ১ নম্বর জ্ঞানে, ১ নম্বর অনুধাবনে এবং ১ নম্বর প্রয়োগে। তিন প্যারায় লেখা ভালো। প্রয়োগ মানে শিক্ষার্থী তার পাঠ্যবই থেকে যা জেনেছে এবং যা বুঝেছে তা উদ্দীপকে প্রয়োগ করবে। উদ্দীপকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গল্প/ কবিতার যে দিকটির সাদৃশ্য/ বৈসাদৃশ্য থাকে, সেটাই জ্ঞান। ওই দিকটি একটি বাক্যে লিখলেই ১ নম্বর অর্থাত্ জ্ঞানের উত্তর হয়ে গেল। তারপর প্রসঙ্গটি পাঠ্যবইয়ের আলোকে বর্ণনা করাই হলো অনুধাবন। দ্বিতীয় প্যারায় অনুধাবন অংশের উত্তর লিখবে । সবশেষে ওই দিকটি উদ্দীপকে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা বর্ণনা করাই প্রয়োগ। ‘গ’ অংশ বা প্রয়োগমূলক উত্তর হবে সর্বোচ্চ ১২ বাক্যে।
# ‘ঘ’ অংশের উচ্চতর দক্ষতা মানেই একটা সিদ্ধান্তের ব্যাপার। যদি সিদ্ধান্তটি সঠিক হয় তাহলে সেটাকেই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে, উদ্দীপকে প্রয়োগ করে প্রমাণ করব যে সিদ্ধান্তটি সঠিক। আর যদি সিদ্ধান্তটি ভুল হয় তাহলে কেন ভুল সেটাও প্রমাণ করতে হবে। অনেক সময় সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে উদ্দীপকের সঙ্গে পাঠ্যবইয়ের যে অংশটুকুর মিল আছে তা বর্ণনা করে যে যে ক্ষেত্রে মিল নেই সেগুলোও বর্ণনা করতে হবে এবং সর্বশেষ সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে সিদ্ধান্তটি আংশিক সত্য, পুরোপুরি নয়। উচ্চতর দক্ষতামূলক উত্তর সর্বোচ্চ ১৫ বাক্যে মধ্যে লিখার চেষ্টা করবে।

মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর
প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, ঢাকা


jonakiict school Designed by Templateism.com Copyright © 2014

Powered by Blogger.
Published By Gooyaabi Templates